প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন অনেক বিদেশি ছেলে-মেয়েরা। আবার ভেঙ্গেও যাচ্ছে সে সংসার। ২০১৭ সালে রাজবাড়ীর সঞ্জয় ঘোষের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রেম হয় ব্রাজিলের সাওপাউলোর বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী ২৯ বছর বয়সী জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভারের।
দীর্ঘ দেড় বছর প্রেম করার পর তারা একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকায় পা রাখেন ব্রাজিলিয়ান তরুণী সিলভা। সিলভাকে নিয়ে সঞ্জয় চলে আসেন তার নিজ বাড়ি জামালপুরে।
সঞ্জয়ের বাড়িতে একদিন থাকার পরই ৫ এপ্রিল তারা চলে যান ঢাকাতে। পরের দিন ৬ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকায় সঞ্জয় ঘোষের জনৈক দাদার বাসায় তাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। এরপর ১০ এপ্রিল (সোমবার) ঢাকা ছেড়ে ব্রাজিলে পাড়ি জমান জেইসা ওলিভেরিয়া সিলভা।
এরপর থেকে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের। সিলভা ব্রাজিলে ফিরে তার সেই ফেসবুক আইডি ও সিম বন্ধ করে রাখেন। মাত্র ৪ দিনের সংসার জীবনেই ইতি টানেন এ তরুণী।
তবে সঞ্জয় ঘোষ বলেন, এ বিষয়টা নিয়ে আর কোন সংবাদ হোক সেটা আমি চাচ্ছিনা। সিলভা আমার শুধু একজন ভালো বন্ধু ছিল। এর বাইরে কিছুই না। আমার কাছ থেকে বাংলাদেশের গল্প শুনে সিলভা এদেশে আসার অনুভূতি প্রকাশ করেছিল।
একজন বন্ধু হিসাবে আমি শুধু তাকে সহযোগিতা করেছি। ফরিদপুর সরকারি টিচার ট্রেনিং কলেজের মনোবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অসিম কুমার ভদ্র বলেন, প্রথমত: ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক কোন সম্পর্কই না। এখানে আবেগ আর মিথ্যার উপস্থিতিই বেশি।
সত্যি কথা বলতে কি আমাদের মধ্যেও এক ধরণের লোভ কাজ করে। আমাদের পরিবারগুলো ভাবে কোন বিদেশির সাথে আমাদের ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দিতে পারলে হয়ত পুরো পরিবার বিদেশে পাড়ি জমাতে পারবে। এই লোভেই তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।